অনেকেই একে 'William Carey Graveyard' বলে নোট করলেও এখানে কেরীসাহেব ছাড়াও অনন্তশয্যায় শায়িত আছেন মার্শম্যান এবং ওয়ার্ডসাহেব এবং তাঁদের পরিবারের মানুষরা। তাই 'মিশন সিমেট্রি' (Mission Cemetry) বলাটাই ঠিক হবে।
এখানে প্রথম সমাধিত কে ছিলেন বলা মুশকিল - কারণ এখানে বেশ কিছু সমাধি/কবর আছে যেগুলির অবস্থা খুব খারাপ।
শ্রীরামপুর ত্রয়ীদের মধ্যে সবার আগে মারা যান উইলিয়ম ওয়ার্ড (২০ অক্টোবর ১৭৬৯ - ৭ই মার্চ ১৮২৩) কলেরায় আক্রান্ত হয়ে। ওয়ার্ড সাহেবও এখানেই সমাহিত আছেন।
১৮৩৪ সালের ৯ জুন ৭৩ বছর বয়সে উইলিয়াম কেরির মহান কর্মময় জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশনারীদের সমাধি ক্ষেত্রে তাকে সমাহিত করা হয়।
জশুয়া মার্শম্যান মারা যান ৬ই ডিসেম্বর ১৮৩৭ সালে (last of Serampore Trio) - তাঁকেও এই মিশন সিমেট্রিতে সমাধি দেওয়া হয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় খ্রীষ্টধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে এই শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেই দিক থেকে এই মিশন সিমেট্রি যেখানে শুয়ে আছেন কেরী-মার্শম্যান-ওয়ার্ড, তার গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও সময়ের সাথে এই কবরখানার অবস্থা হয়েছিল ভগ্নপ্রায়, জঙ্গলে ঢাকা - ২০০৯ সালে পুনঃনির্মাণ করা হয়।
আগে এই সিমেট্রির পাশেই থাকেন কেয়ারটেকার, তাকে ডেকে মূলদরজার তালা খুলিয়ে ঢোকা যেত। কিন্তু এখন শ্রীরামপুর কলেজের অনুমতি ছাড়া এই মিশন সিমেট্রিতে প্রবেশ নিষেধ।
মিশন সিমেট্রির ব্যাপারে বিশদে জানতে - https://indianvagabond.com/2021/09/16/mission-cemetery-serampore/
No comments:
Post a Comment