Tuesday, December 26, 2023
Battle of Colas: Thums Up vs Coke vs Campa Cola vs Pepsi
India's soft drink market is into a tension as country's richest man Mukesh Ambani has re-launched Campa in India, a new rival in the soft drink market. Campa is being available in three variants - Cola, Lemon and Orange.
Friday, November 24, 2023
EV in India - List of 2 Wheeler Makers
Electric Vehicles are seem to be the cars from the future. But already several home grown companies developed two-wheelers and cars for Indian populations.
Tata Motors seems to be the king of EV car market - they have Tata Tiago EV, Tata Nexon EV, Tata Nexon EV Max, Tata Nexon EV Prime and upcoming Tata Altroz EV as 4 wheelers EV offerings. They also launched Punch.ev.
Other mainstream EV cars available in India - MG ZS EV, Hyundai Kona Electric, Kia EV6 and upcoming Mahindra XUV400.
There are some cars from premium car makers like Posche, Mercedes, BMW, Byd - all are priced more than 30 lakhs.
Thursday, November 09, 2023
Jio Adds SpaceFiber to Deliver Gigabits in Remote Areas, Partner SES in Trouble with O3b mPower Fleet
It's time to grace SATCOM as it goes masses. Country's largest telecom player Reliance Jio and Luxembourg-based satellite communications company SES backed 'Jio Space Technology Limited' (51:49) had demonstrated capabilities of JioSpaceFiber services at Mobile Congress India's conference on 27th October, 2023. Jio Satellite was formed in February 2022.
Thursday, August 31, 2023
Aviation India - June to August 2023 Updates
The civil aviation industry in India has seen remarkable growth after pandemic. As experts predict, Indian aviation will accommodate 430 million additional air passenger journeys by 2040 compared to 2019.
India's aviation market saw an extra ordinary in January 2022, as government sells Air India to Tata group. Once Tatas founded and owned this airlines and again it is in their hands.
Post Covid era, aviation business is booming as travel is now easier and safer.
Saturday, July 01, 2023
5G-NTN : New Dimension of Satellite Communications
Starlink's satellites |
5G space is getting excited by another new domain - that's 5G NTN (Non Terrestrial Network). The basic idea of 5G NTN is to deliver 5G/NR service via satellite or other airborne platform (like Google Balloons or Project Loon).
Earlier I wrote regarding the competition between 5G and satellite broadband will be inevitable. But they can synergize to create an efficient and much-desired fusion of terrestrial and non-terrestrial networks to bring internet connectivity in the country as well as globally.
5G-NR is known for the enhanced speed, higher network capacity, lower latency, improved reliability and coverage. With 5G-NR there are new and innovative uses with IoT - like smart cities, remote industrial automation, artificial intelligence and augmented reality, revolutionizing industries, and empowering novel applications.
Thursday, June 29, 2023
Mid 2023: Tablet Buying Guide
It's been just middle of 2023, and we have 2 gorgeous Android tablets in Indian market - One Plus Pad and Xiaomi Pad 6. Both are affordable and superb looking devices with several accessories to pump them out.
Saturday, June 10, 2023
5G India: New Updates
With 5G technology, Indian service providers have got ample of opportunities. Many experts believe that India has fastest large-scale deployment of 5G infrastructure in the world.
First Jio or Airtel started with OpenRAN architecture - where hardware is kept compatible with other softwares too (like you bought HP laptop, which comes with Windows, but you uninstalled it, and installed Ubuntu Linux).
BSNL 5G by mid-2024
State owned operator BSNL did not depend on Chinese vendors (Huawei and ZTE) for 4G roll out - the contract went to Tata Consultancy Services led consortium. The advanced purchase order (APO) for deployment of 4G network across India on behalf of BSNL is valued over Rs 15,000 crore. The consortium includes government-owned Centre for Development of Telematics (C-DoT) and Tata Group owned Tejas Networks. BSNL's West Zone's 4G deployment will be done by Central govt. backed ITI. This contract is worth ₹3,889 crore.
India's telecom minister Ashwini Vaishnaw, by the end of May, announced that BSNL 4G will go live in 2 months, and 5G upgrade will be started in November-December of 2023, and 5G from BSNL will go masses by March 2024 - which I personally believe unachievable. BSNL may launch 4G commercially at Q4 of 2023, and that home made 4G-5G stack BSNL is deploying will be upgraded to 5G/NR by middle of 2024.
Tuesday, May 30, 2023
NavIC - India's Regional Satellite Navigational System Updated to v2.0 with L1 Band Support
For the first time, an indigenously developed rubidium atomic clock was flown in NVS-01. The space-qualified rubidium atomic clock, indigenously developed by Space Applications Centre, Ahmedabad is an important technology which only a handful of countries possess.
The satellite is powered by two solar arrays, capable of generating power up to 2.4kW and a lithium-ion battery supporting payload and bus load during eclipse. The mission life of NVS-01 is expected to be better than 12 years.
Monday, May 22, 2023
Men Fashion Stores - List
Saturday, April 15, 2023
টাকির জমিদারির ইতিহাস
পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় ইছামতী নদীর পশ্চিমতীরে অবস্থিত মফস্সলের এই ছোট শহর - টাকি ঘিরে রয়েছে বহু প্রাচীন ইতিহাস। ইছামতী ছাড়াও আরো একটি ছোট নদী প্রবাহিত হত টাকির পাশ দিয়ে। এর ফলে তৈরি হয় সরু মুখের নদীতীর বা ট্যাঁক। এই ট্যাঁক থেকেই টাকি'র নামকরণ হয় বলে মনে করা হয়। এখানে সেই অর্থে সীমান্ত বলে কিছু নেই - নদীর মাঝ বরাবর ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। নদীর এপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টাকি এবং অপর প্রান্তে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্রীপুর, ভাতসালা, দেভাটা গ্রাম। সুন্দরবনের গেটওয়ে হিসেবেও টাকি পরিচিত হলেও আজ কলকাতা থেকে Weekend Destination হিসেবে টাকি আলাদা করে স্বীকৃতি পেয়েছে। শুধুমাত্র ইছামতীর টানেই, বা শীতের গ্রামের আমেজ নিতে বা, দশমীর দুর্গাবিসর্জন দেখতে নয়, টাকির ইতিহাসের টানে এখন ভ্রমণপিয়াসীরা আসছেন সারা বছর ধরে। যদিও টাকির ইতিহাসের অনেককিছুই এখন অবহেলায় সময় এবং নদীর গর্ভে - যা আছে তার দরকার ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ।
Sunday, April 09, 2023
টাকি ভ্রমণঃ প্রকৃতি, ইছামতী নদী আর জমিদারবাড়ি
আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে অবধি টাকি শহরের পরিচয় ছিল শীতকালীন পিকনিক স্পট হিসেবে। আমার সেই সময়ের টাকি'র স্মৃতি হিসেবে যেটুকু মনে আছে, চওড়া ইছামতী নদী, পাশে ধানক্ষেত - ধান কেটে নেওয়ার পর ধানগাছের গোড়াটুকু পড়ে আছে, আর কিছু খেজুর গাছ, যেগুলোতে রসের হাঁড়ি ঝুলছে আর ফেরার সময় দেখেছিলাম চুপচাপ টাকি রেলস্টেশনকে।
সেই টাকি আজ আর নেই। রিলায়েন্স ট্রেণ্ডস আর স্মার্ট পয়েন্ট খুলে গিয়েছে এখানে। চাষবাস এই শহরে আজ হয়না বললেই চলে। অবশ্য দোষই বা দেই কেন? দেশের অন্যতম প্রাচীন এই জনপদে পুরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল ৪টি ওয়ার্ড নিয়ে। অধীনে ছিল সাড়ে ৪ বর্গ মাইল। ১৪ জন মনোনীত সদস্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল টাউন কমিটি। শুরুতে পুরসভার কাজ চলত মোহিত কুণ্ডুর বাড়িতে। টাকি পুরসভার প্রথম ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান সতীকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং উপপ্রধান হয়েছিলেন জ্ঞানেন্দ্রকুমার রায়চৌধুরী। ওই সময়ে টাকির বেশির ভাগ জায়গা ছিল জঙ্গলে ভরা। একসময় বাঘের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ টাকি টাউন কমিটি শেষমেশ বাঘ মারতে পুরস্কার ঘোষণা করে। যার নগদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা! কে পেয়েছিলেন এই পুরষ্কার সে ইতিহাস অবশ্য সময়ের ধুলোয় চাপা পড়ে গেছে। স্বাধীনতার আগে থেকেই টাকির উন্নতি শুরু, সেই উন্নতির পিছনে অবশ্য টাকির রায়চৌধুরী জমিদারদের অবদান অনস্বীকার্য। ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত টাকি গভমেন্ট স্কুল এখানকার শিক্ষা-মনন গঠনে এক দারুণ কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন সময়ে টাকি পুরসভায় এসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রসরাজ অমৃতলাল বসু, জলধর সেন প্রমুখ। বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে একবার রাজ্যের সব মন্ত্রীদের নিয়ে ‘আম দরবার’ বসেছিল টাকিতে।
Tuesday, March 28, 2023
War Ground 5G: Airtel vs Jio - Fastest 5G Rollout
India is noting down another success story - world's fastest commercial 5G mobile technology roll out, thanks to Reliance Jio and Bharti Airtel's continuous effort. Six months after 5G launched in the country, India's 5G customer base stands at 50 million (= 5 cr) which is nearly 5% of world's 5G subscriber base. Crisil Ratings predicts India will have 30 cr 5G subscribers in next 2 years (by March 2025), which would account for 1/3rd of total wireless data users of the country.
Thursday, March 23, 2023
শ্রীরামপুরঃ চাতরা সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির
Wednesday, March 22, 2023
শ্রীরামপুরের শীতলা পুজো ও মেলা (চাতরা শীতলাতলা ও পটুয়াপাড়া)
শ্রীরামপুরের চাতরার শীতলাপুজোও খুব বিখ্যাত। এখানে পূজিত হন শ্রীরামপুরের তিন মা - বড় মা, মেজ মা এবং ছোট মা। তিন মা-ই আসলে মা শীতলা।
প্রায় ২০০ বছর আগে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বসন্ত রোগ এক সময় মহামারীর আকার ধারণ করেছিল শ্রীরামপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে সাধক রামদাস শুরু করেন শীতলা পুজো। প্রসন্ন হয়ে দেবী শ্রীরামপুর ও সংলগ্ন এলাকাবাসীকে রোগমুক্ত করেন। আজ ভক্তদের একাংশের কাছে তিনি শ্রীরামপুরের রানি মা। আবার কিছু ভক্তের কাছে তিনি বড় মা। ঐতিহাসিক সুধীরকুমার মিত্র মনে করেন, বাংলা সালের ১২৬০ এর দশক থেকে এখানে শীতলা দেবীর আরাধনা চলছে। বর্তমানে শীতলা এস্টেষ্ট এই মন্দির এবং পুজোর দেখভাল করে।
Wednesday, March 01, 2023
শ্রীরামপুরঃ ইম্যাকুলেট কনশেপশন চার্চ
শ্রীরামপুর পর্ব ১৭ঃ মেলা বাড়ি ও ক্ষেত্রমোহন সা-এর বাড়ি
Residence of Khestra Mohan Sha |
শ্রীরামপুরের অন্যতম কৃতিমান ব্যক্তি ছিলেন ক্ষেত্রমোহন সা' (১৮৪১-১৯১৪)। শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছেই ক্ষেত্রমোহন সা' স্ট্রিটে অবস্থিত তাঁর বসতবাটি এবং মেলাবাড়ি। ক্ষেত্রমোহন সা' জন্মেছিলেন ১৮৪১ সালে, বিহারে। ইষ্ট ইণ্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানির ঠিকাদার ছিলেন তিনি, সেই সুবাদেই শ্রীরামপুরে এসে বসবাস শুরু করেন। আজ যেখানে কে.এম. শাহ রোড, সেটিই আগে পরিচিত ছিল অক্সফোর্ড স্ট্রীস্ট নামে। এখানেই আছে ক্ষেত্রমোহন সাহের বসতবাড়িটি। পরবর্তীকালে ক্ষেত্রমোহন সাহ পাটের ব্যবসায় নামেন এবং প্রভূত অর্থ উপার্জন করেন। এই অর্জিত পয়সাতেই তিনি শুরু করেছিলেন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজকর্ম।
Tuesday, February 28, 2023
শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল
শ্রীরামপুর: ড্যানিশ চার্চ - সেন্ট ওলাভস চার্চ
শ্রীরামপুরে ড্যানিশ ঔপনিবেশিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি হল এই ড্যানিশ চার্চ - যার পোশাকি নাম সেন্ট ওলাভ'স চার্চ। পাঁচু গোপাল ভাদুড়ী সরনীতে অবস্থিত এই চার্চটির নামকরণ হয় নরওয়ের ভাইকিং রাজা এবং পরে 'National Saint' সেণ্ট ওলাভ-এর নামে।
১৭৫৫ সালে ড্যানিশরা শ্রীরামপুরে (বা ফ্রেডরিকনগর) উপনিবেশ স্থাপন করার পরে এখানে ধীরে ধীরে ড্যানিশ জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। কাজেই দরকার হয়ে পড়ে একটি উপাসনাস্থলের। ১৭৭৬ সালে ফ্রেডরিকগঞ্জের গভর্নর নিযুক্ত হলেন কর্নেল ওলি'বি। ডেনমার্ক থেকে চাঁদা তুলে মোটামুটি ১৮০০ খ্রীস্টাব্দে প্রোটেস্ট্যান্ট নাগরিকদের প্রার্থনাস্থল স্থাপনের জন্য লুথারিয়ন গির্জার কাজ শুরু হয় শ্রীরামপুরের তৎকালীন গভর্নর ওলি'বি-র সময়।
শ্রীরামপুর: জেল/উপসংশোধনাগার
Sunday, February 26, 2023
শ্রীরামপুর পর্ব ১১ঃ ড্যানিশ কবরখানা
Entrance of Danish Cemetery (2024) |
যদিও শ্রীরামপুরে ড্যানিশ উপনিবেশটি ছিল ছোট, কিন্তু খ্রীষ্টান কবরখানার প্রয়োজন হয়েছিল তাড়াতাড়িই। কারণ অনেকটা সমুদ্রপথ পেরিয়ে ভারতে এসে অনেক ইউরোপীয়ানরাই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তারপর ছিল ট্রপিক্যাল ফিভার এবং গরম - তার ধকল অনেকেই নিতে পারতেন না। ফলে মৃত্যুর হার ছিল বেশ বেশিই। ফলে নিজেদের দরকারেই ড্যানিশ কর্তৃপক্ষ এই কবরখানাটি গড়ে তোলেন।
শ্রীরামপুর পর্ব ১০ঃ মিশন সিমেট্রি
অনেকেই একে 'William Carey Graveyard' বলে নোট করলেও এখানে কেরীসাহেব ছাড়াও অনন্তশয্যায় শায়িত আছেন মার্শম্যান এবং ওয়ার্ডসাহেব এবং তাঁদের পরিবারের মানুষরা। তাই 'মিশন সিমেট্রি' (Mission Cemetry) বলাটাই ঠিক হবে।
এখানে প্রথম সমাধিত কে ছিলেন বলা মুশকিল - কারণ এখানে বেশ কিছু সমাধি/কবর আছে যেগুলির অবস্থা খুব খারাপ।
শ্রীরামপুরঃ শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জীউর মন্দির
শ্রীরামপুরঃ রাম-সীতা মন্দির
ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা মজা করে বলে থাকেন - 'স্যার আই এম পুওর' - কালা নেটিভের বলা এই ইংরিজি বাক্য থেকেই নাকি এসেছে শ্রীরামপুরের নাম। যদিও সেটা সত্যি নয়। শেওড়াফুলীর রাজা রাজচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত রাম-সীতার মন্দির থেকেই এই অঞ্চলের নামকরণ হয় শ্রীরামপুর।
১৭৫৩ সাল (৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১১৬০ বঙ্গাব্দ) নাগাদ মনোহর চন্দ্রের পুত্র রাজা রাজচন্দ্র রায় শ্রীপুর গ্রামে বিষ্ণু-অবতার রামচন্দ্রের মন্দির স্থাপন করেন এবং এই মন্দিরের সেবার জন্য শ্রীপুর, গোপীনাথপুর ও মনোহরপুর নামক ৩টি মৌজা দেবোত্তর করে দেন। এভাবেই ‘শ্রীপুর’, ‘শ্রীরাম’ ইত্যাদি নাম থেকে ‘শ্রীরামপুর’ নামটির উৎপত্তি।
Friday, February 24, 2023
শ্রীরামপুর: ইউনিক লজ
বর্ধমান-হুগলীর সীমান্তের দেবীপুর গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবার ১৮০০ শতকের শুরুতে যশোরে চলে এলেও ১৮৬০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথামত কালীনাথ ভট্টাচার্য শ্রীরামপুরে এসে বসবাস শুরু করেন। কালীনাথ ছিলেন সংস্কৃতের পণ্ডিত - এখানে এসে দে পরিবারের শিশুদের শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেন। সেই শুরু ভট্টাচার্য পরিবারের শ্রীরামপুরের দে স্ট্রীটে থাকা। কালীনাথের ছেলে দূর্গাপ্রসন্ন (স্থানীয়দের কাছে পাঁচুবাবু বলে পরিচিত) চিকিৎসক হতে চাইলেও পরে পেশা হিসেবে বেছে নেন বাড়ি তৈরির কাজকে। ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে তৈরি করতে থাকেন একের পর এক জুট মিল, সরকারি-বেসরকারি বাড়ি।
অর্থাজনের সাথে সাথে তিনি ছিলেন শৌখিন মানুষ। কলকাতার রাজেন্দ্র মল্লিকের মার্বেল প্যালেস ও চিড়িয়াখানার অনুকরণে দূর্গাপ্রসন্ন তৈরি করেন এই ইউনিক লজ এবং ডগ কেনেল। মূল দরজার বাইরে আছে দুটি সিংহ মূর্তি - এই জন্য ২১ নম্বর দে স্ট্রিটের এই বাড়িটি ‘সিংহ বাড়ি’ নামে পরিচিত।
Thursday, February 23, 2023
শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন
শিক্ষার দিক থেকে শ্রীরামপুর কলকাতার থেকে কিছু কম ছিল না। ১৯০০-এর আগেই এখানে তিনটি স্কুল স্থাপিত হয় - দে স্ট্রীটে বল্লভপুর হাই স্কুল (১৮৬৭), কৃষ্ণমোহন ভট্টাচার্য স্ট্রীটে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন (১৮৮৪) এবং চাতরায় নন্দলাল ইন্সটিটিউশন (১৮৭৩)।
কলকাতায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৬৪ সালে মেট্রোপলিটন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এই শুনে শ্রীরামপুরের কিছু ভদ্রলোক কলকাতায় গিয়ে বিদ্যাসাগরের সাথে দেখা করে শ্রীরামপুরে এই স্কুলের একটি শাখা খুলতে অনুরোধ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন তাঁদেরকেই উৎসাহিত করেন নিজেদেরকেই একটি বিদ্যালয় শুরু করতে।
Tuesday, February 21, 2023
শ্রীরামপুর কুণ্ডু বাড়ি
কুণ্ডু বাড়ির খোঁজ আমি পাই ইণ্টারনেটে কিছু পোস্ট থেকে। শ্রীরামপুরে যে কয়েকটি বনেদীবাড়িতে দুর্গাপূজা হয় কুণ্ডুবাড়ি তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৮৮৫ সাল নাগাদ থাকোগোপাল কুণ্ডু এই দুর্গাপূজার সূচনা করেন। ইনি ছিলেন ঘি আর আখের গুড়ের ব্যবসায়ী - বিহার ও উত্তর প্রদেশ থেকে আমদানি করে বেশ পয়সা কামিয়ে ছিলেন। প্রথমে কুণ্ডুবাড়ির দূর্গা দালান বা চণ্ডীমণ্ডপটি ছিল খড় এবং মাটির তৈরি, পরে চুনসুরকি দিয়ে বানানো হয়। পরবর্তীকালে সিমেন্ট দিয়ে কিছু কিছু পুনঃনির্মাণ করা হয়। বর্তমান ঠিকানা ননীলাল ভট্টাচার্য ষ্ট্রীট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী এই বাড়ির দখল নেয় এবং দূর্গাদালানটি ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে। সেই মুর্হুতে একটি ভূমিকম্প হয় এবং শেষ অবধি ব্রিটিশ সৈন্যরা দূর্গাদালানটি না ভেঙ্গেই কুণ্ডুবাড়িতে থাকতে থাকে।
শ্রীরামপুর কলেজ এবং কেরী মিউজিয়াম, পঞ্চানন কর্মকার, চটকল, শ্রীরামপুর জননগর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং টেক্সটাইল কলেজ
ভারতে উইলিয়াম কেরি (১৭ আগস্ট ১৭৬১ - ৯ জুন ১৮৩৪) এসেছিলেন মূলত ক্রিশ্চান ধর্ম প্রচার করতে, কিন্তু তাঁর কাজ ধর্ম প্রচারের গণ্ডি পেরিয়ে সমাজ সংস্কারের পথ দেখিয়েছিল। মার্শম্যান এবং ওয়ার্ডের সহায়তায় কেরি শুধু কলেজই শুরু করেননি, তার সাথে সাথে করেছেন অসংখ্য বইএর অনুবাদ - বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায়। তার প্রিন্টিং প্রেস থেকে ছাপা হত সমাচার দর্পণ, দিগদর্শন এবং ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়া - এই পত্রিকাগুলোকে আজকের স্টেটসম্যান এর দাদু-ঠাকুরদা বলাই যায়। বাংলায় বাইবেল অনুবাদ ছাড়াও কেরী বহু বই সংস্কৃত ভাষা থেকে অনুবাদ করেন। সত্যি কথা বলতে গেলে বাংলার জন্য কেরী সাহেবের অবিস্মরণীয় কীর্তিকলাপ এই ক্ষুদ্র পরিসরে তুলে ধরা সম্ভব নয়।
১৭৯২ সালে ইংল্যাণ্ডের ডিডকট শহরে ব্যাপ্টিস্ট মিশনারী সোসাইটি স্থাপিত হয়। এই সোসাইটির উদ্যোগে বিভিন্ন দেশে খ্রীষ্টধর্ম প্রচার শুরু হয়। মূলত এই উদ্দ্যেশ্যেই ১৭৯৩ সালের ১৩ জুন নরদাম্পটনের উইলিয়াম কেরী তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ফিলিক্স, স্ত্রী ও কন্যাসহ ভারতীয় উপমহাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ১১ নভেম্বর তিনি ও তার সহযাত্রীগণ কলকাতায় পৌঁছান। তার পর থেকে কেরী ভারতীয় ভাষাগুলি শিখতে মগ্ন হয়ে পরেন এবং বাংলায় বাইবেল অনুবাদও করে ফেলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশ সরকার খ্রীস্টান ধর্ম প্রচারের কাজে যুক্ত মিশনারীদের কাজে বিরক্ত হন এবং তাদের কাজে বাধা তৈরি করেন।
শ্রীরামপুর: দে বাড়ী
মাহেশ, বল্লভপুর ঘুরে এবার গন্তব্য শ্রীরামপুরের মূল শহর।
এবার আমাদের গন্তব্য দে স্ট্রীট। প্রথমেই যাব দে বাড়িতে। ঠাকুরদালান সম্বলিত এই বাড়ি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো আর এখানকার দূর্গাপুজোও খুব বিখ্যাত। হুগলি জেলার বনেদী বাড়ির পুজোর লিস্ট করতে বসলে দে বাড়ির পুজোকে বাদ দেওয়া যাবে না। কাছেই দে ঘাট - দে পরিবার নিজেদের জন্য বানালেও এখন সবার জন্যই খোলা। এই ঘাটে এখন বেশ কিছু ছোট মন্দির দেখতে পাওয়া যায় - করুণাময়ী কালীমাতা, চৌরঙ্গী বাবা এবং দূর্গামাতার মন্দির।
দে বাড়িকে অনেকেই জমিদারবাড়ি বলে ভুল করে, কিন্তু এঁনারা ছিলেন মূলত কলকাতার বড়বাজারের লবণ ব্যবসায়ী। তবে দে'দের শ্রীরামপুরে প্রথম পুরুষ ছিলেন বৃন্দাবন চন্দ্র দে - উনি ১৭০০ সালের দিকে তুলার ব্যাপারি হিসেবে এই শহরে আসেন। ওঁনার উত্তরসূরিরা অবশ্য ইংরেজদের সাথে মূলত লবণের ব্যবসা করেই ১৭৮০ এর দশকে শ্রীরামপুরের অন্যতম ধনী পরিবার হয়ে ওঠেন, সাথে করতেন দিনেমারদের এজেন্ট এবং মহাজনের কাজও। ১৭৪৮ সালে (বা ১৭৫০ সাল) দে পরিবারের দুর্গাপুজোর শুরু হয় রামভদ্র দে-র হাত ধরে।
Monday, February 20, 2023
শ্রীরামপুর: জলকল, হেনরি মার্টিনের প্যাগোডা এবং অল্ডিন হাউস
শ্রীরামপুর জলকল |
মাহেশ, জননগর, বল্লভপুর, আকনা ঘুরে এইবার যাচ্ছি শ্রীরামপুর জলকল-এ।
কলকাতায় জল সরবরাহ শুরু হয় ১৮৭০ সাল নাগাদ। তার আগে গঙ্গার জল বড় বড় জালায় ভরে রাখা হত। শোনা যায় যে ব্রিটিশরা ১৮৯৪ সাল থেকেই গঙ্গার জল নিয়ে গবেষণা করত। তখন জানা যায় পলতার জল বেশি লবণাক্ত, সেই কারণেই পলতায় পানীয় জল শোধনাগার গড়ে ওঠে। পলতা-বারাকপুরের বিপরীতে রয়েছে শ্রীরামপুর (হুগলী) - সেখানকার জল তুলনায় কম লবনাক্ত। ফলে এখানে জল সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয় হাওড়া এবং হুগলীতে জল সরবরাহের জন্য।
১৮৯৬ সালের ১০-ই জানুয়ারি বাংলার ছোট লাট আলেকজান্ডার ম্যাকেঞ্জি ৮২ বিঘা জমির উপর বার্ন কোম্পানির হাতে তৈরি করা হাওড়া মিউনিসিপ্যালিটির পানীয় জল ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে জল থিতানোর জন্যে ৪ টি পুকুর এবং পরিশোধনের জন্য ১১ টি ফিল্টার বেড আছে। আজ এরই নাম হাওড়া ওয়াটার্স ওয়ার্ক্স - এখান থেকে দৈনিক ১২৬ লক্ষ গ্যালন জল হাওড়া শহরের পঞ্চানন তলা রোড, সালকিয়া, কৈপুকুর এবং শিবপুর জলাধারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
Saturday, February 18, 2023
শ্রীরামপুর: মদনমোহন মন্দির
মদনমোহন মন্দিরটি শ্রীরামপুরের আকনা, চৌধুরী পাড়াতে অবস্থিত। বল্লভপুরের রাধাবল্লভ জীউ মন্দির থেকে হেঁটেই এই মন্দিরটিতে আসা সম্ভব। শ্রীরামপুর স্টেশন থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে আকনা চৌধুরীপাড়া।
মদনমোহন মন্দির (২০২০) |
এখন যেখানে ওয়ালশ হাসপাতাল ঠিক সেই জায়গায় দক্ষিণ ভারতীয় রামানুজ সম্প্রদায়ের (অন্য মতে নেপালের ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী সম্প্রদায়) কিছু বৈষ্ণব বাস করতেন। ভজন-নামসংকীর্তন করে তাঁরা দিন কাটাতেন। একটি বৈষ্ণব আখড়া গড়ে ওঠে এখানে। শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায় এই জমিটি এই বৈষ্ণবদের দান করেন। তাঁরা সেই আখড়ায় মদনমোহনের একটি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা কোন কারণে এই আখড়া ছেড়ে চলে যান, বিগ্রহটি এখানেই থেকে যায়। আখড়া-ভবনটি আস্তে আস্তে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়।
শ্রীরামপুর: বল্লভপুরের রাধাবল্লভ জীউ মন্দির
এবার আসুন বল্লভপুর। এখানে দেখে নিন ২৫০ বছরের বেশি পুরোনো রাধাবল্লভ মন্দির, সংলগ্ন রাসমঞ্চ, রাধা বল্লভ ঘাট। পাশেই আছে গঙ্গার ধারে নবনির্মিত শশ্মানকালীর মন্দির এবং উগ্রতারা তীর্থ। এর ঠিক উলটো পাড়ে বারাকপুর ও টিটাগড়ের মাঝে অন্নপূর্ণা মন্দির এবং রাসমণি ঘাট।
রাধাবল্লভ জীউ মন্দির
এই রাধাবল্লভের মন্দির থেকেই এই এলাকার নাম হয় বল্লভপুর।
এই মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে দুটি মত আছে। একমত বলে যে এই মন্দিরের বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা করেন রুদ্ররাম। রুদ্ররাম ছিলেন শাক্ত এবং তাঁর মামা ছিলেন শ্রীরামপুরের চাতরা নিবাসী বৈষ্ণবচূড়ামণী, শ্রীচৈতন্য পরিকর, পণ্ডিত কাশীশ্বর।
কাশীশ্বর পণ্ডিত ছিলেন অত্যন্ত গোঁড়া বৈষ্ণব। তিনি প্রতিদিন নিজের হাতে তাঁদের কুলদেবতা শ্রীকৃষ্ণের পূজা করতেন। তিনি কোন অ-বৈষ্ণবকে এই বিগ্রহ ছুঁতে দিতেন না। একদিন কোন কারণে তাঁর বাড়িতে ফিরতে দেরি দেখে তাঁর ভাগনে রুদ্ররাম শ্রীকৃষ্ণের পূজা সম্পন্ন করেন। বাড়ি ফিরে এসে কাশীশ্বর এই দেখে খুবই রাগ করেন এবং রুদ্ররামকে গালিগালাজ করেন। মনের দুঃখে রুদ্ররাম বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসে আকনায় (এখন বল্লভপুর) গঙ্গার ধারে এক জায়গায় আশ্রয় নেন এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রার্থনায় মগ্ন হন।
Friday, February 17, 2023
শ্রীরামপুর - ইতিহাসের পাতা থেকেঃ জননগর
Thursday, February 16, 2023
শ্রীরামপুরঃ মাহেশ - জগন্নাথ মন্দির ও রথযাত্রা
শ্রীরামপুর - ইতিহাসের পাতা থেকেঃ শুরুর কথা
২০১৮ সালে শ্রীরামপুরে গঙ্গার ধারে একটি পুরোনো ভাঙ্গাবাড়ি সংস্কার হয়ে ড্যানিশ ট্রাভর্ন বলে একটা নতুন হোটেল এবং রেস্তোরাঁ খোলে শ্রীরামপুরে। প্রথমে কিছুদিন রাজ্য ট্যুরিজম বোর্ড এটিকে চালালেও পরে এটিকে পরিচালনার দায়িত্ব আসে পার্ক হোটেলের হাতে। ঐতিহাসিক ড্যানিশ ট্রাভর্নের হাত ধরে রাজ্যের ফুড-মানচিত্রে শ্রীরামপুর স্থান দখল করে নেয়। খাওয়ার সাথেই আসে ঘোরা। ইতিহাস প্রেমী হন বা না হন শ্রীরামপুর এলে দারুণ দারুণ দেখার জায়গাগুলো মিস করবেন না। কে জানে ক'বছর পর এসব আর তাদের জায়গায় থাকবে কি না!
Wednesday, February 01, 2023
Chinese Eateries in and around Old Cheenapara of Kolkata (টেরিটি বাজার)
Frankly speaking, today old China Town of Kolkata is quite gloomy compared to Tyangra - the new China Town in terms of food offerings. Tyangra has some very good restaurants with good ambience. And Khoka goes there to have Chicken Chowmein and Chili fish (Ref: Dwitiyo Purush).
Kitchen of a Chinese Eating House, Tyangra (1978) (via facebook) |
Jokes apart, Tiretta Bazaar has its own old school charm and they don't burn your pockets at all. Being quite affordable and location near to College street, hence college goers have quite heavy footfall here. Another thing is none of these Tiretta 'eating houses' serve alcohol while Tyangra is famous for cheap boozes with good Chinese starters.
Tuesday, January 24, 2023
China Town of Kolkata - Dragon Boat Festival
Google Doodle of Dragon Boat Festival 2021 |
For the uninitiated, Kolkata has two China Towns - old one in the center of the city at Tiretti Bazar and new one at the boundary of the city at Tangra. And the China Towns in Kolkata are the only ones in India.
This is the Cheenapara (চীনেপাড়া) series on my blog. In this story the topic is Dragon Boat Festival. Interesting thing is Kolkata never celebrated this festival until 2015, though first Chinese Tong Achew stepped his feet in Bengal during 1770's. The main reason is simple - Dragon Boat festival needs water bodies where boats can be raced, and being in the center of city, Tiretti Bazar's Chinese community could not able to organize such festival in the absence of big water bodies. Well our sacred river, the Ganges could be an option but they never think of it.
Dragon Boat festival, also known as Tuen Ng or Duwanu Jie Festival, is a traditional Chinese festival which falls on the fifth day of the fifth month in the Chinese lunar calendar. It is famous in China and other historical China towns across the globe like in San Francisco, London and Singapore. The festival pays homage to poet and hero Qu Yuan with a special dish called 'chong'. Chong is delicious glutinous rice cake stuffed with meat or sweet paste, wrapped in bamboo leaves.
-
Though I made the caption as 'REMADE', these days commercial bengali films are just mere scene-to-scene copy and paste from sout...
-
At a point you may find that 404-999 is a 3G network live at your area while you are manually setting the network. There is no name of this...
-
This article is meant for certificate courses after MBBS. While young medical professionals are running behind post graduation, there is alw...